"faith"タグの名言
হৃদয় তোমাকে পেয়েছি, স্রোতস্বিনী ! তুমি থেকে থেকে উত্তাল হয়ে ছোটো, কখনো জোয়ারে আকণ্ঠ বেয়ে ওঠো তোমার সে-রূপ বেহুলার মতো চিনি। তোমার উৎসে স্মৃতি করে যাওয়া আসা মনে-মনে চলি চঞ্চল অভিযানে, সাহচর্যেই চলি, নয় অভিমানে, আমার কথায় তোমারই তো পাওয়া ভাষা। রক্তের স্রোতে জানি তুমি খরতোয়া, ঊর্মিল জলে পেতেছি আসনপিঁড়ি, থৈথৈ করে আমার ঘাটের সিঁড়ি, কখনো-বা পলিচড়া-ই তোমার দোয়া। তোমারই তো গান মহাজনী মাল্লার, কখনো পান্সী-মাঝি গায় ভাটিয়ালি, কখনো মৌন ব্যস্তের পাল্লায়, কখনো-বা শুধু তক্তাই ভাসে খালি। কত ডিঙি ভাঙো, যাও কত বন্দর, কত কী যে আনো, দেখো কত বিকিকিনি, তোমার চলায় ভাসাও, স্রোতস্বিনী,
It is the Will of Heaven, that the two Countries should be sundered forever. It may be the Will of Heaven that America shall suffer Calamities still more wasting and Distresses yet more dreadful. If this is to be the Case, it will have this good Effect, at least: it will inspire Us with many Virtues, which We have not, and correct many Errors, and Vices, which threaten to disturb, dishonor, and destroy Us. – The Furnace of Affliction produces Refinement, in States as well as Individuals…. But I must submit all my Hopes and Fears to an overruling Providence, in which, unfashionable as the Faith may be, I firmly believe.
আমি আশার কথা বলব আমি সেজার ভালেহোর মতন এই যন্ত্রণা সহ্য করি না । আমি শিল্পীর মতন যন্ত্রণা সহ্য করি না, মানুষের মতন, কিংবা নিছক জীবন্ত প্রাণীর মতন । আমি ক্যাথলিকের মতন এই যন্ত্রণা সহ্য করি না, একজন মুসলমানের মতন, কিংবা একজন নিরীশ্বরবাদীর মতন । আজকে আমি কেবল যন্ত্রণাভোগ করি । যদি আমার নাম সেজার ভালেহো না হতো, আমি এই একই যন্ত্রণায় ভুগতুম । আমি যদি শিল্পী না হতুম, আমি তবু যন্ত্রণা ভোগ করতুম ।: আমি যদি মানুষ না হতুম কিংবা জীবন্ত প্রাণীও না হতুম, তবু আমি যন্ত্রণা ভোগ করতুম । আমি যদি একজন ক্যাথলিক, একজন নিরীশ্বরবাদী, কিংবা একজন মুসলমান না হতুম, তবু আমি যন্ত্রণায় ভুগতুম । আজকে আমি আরও গভীর অন্তর থেকে যন্ত্রণা ভোগ করছি । আজকে আমি কেবল যন্ত্রণা ভোগ করছি। কোনোও ব্যাখ্যা ছাড়াই আমি যন্ত্রণায় ভুগি । আমার যন্ত্রণা এতো গভীর যে তার কোনো কারণ কখনও ছিল না --- বা কারণহীনতা ছিল না । তার কি কারণ হতে পারে ? কোথায় সেই কোনওকিছু যে তার কারণ হওয়া থামিয়ে দিয়েছে ? কোনো কিছুই এর কারণ ছিল না । কেমন করে এই যন্ত্রণা নিজের থেকে নিজেই জন্মেছে ? আমার যন্ত্রণা উত্তরের বাতাস আর দক্ষিণের বাতাস থেকে, সেই যৌনতাহীন বিরল পাখিদের মতন যারা যৌনতাহীন ডিম পাড়ে আর বাতাস তাদের প্রসবে সাহায্য করে । যদি একজন প্রেমিকা মারা যেতো, আমার যন্ত্রণা একই হতো। যদি ওরা আমার গলার নলি কেটে দিতো, আমার যন্ত্রণা একই হতো। যদি জীবন -- সংক্ষেপে -- অন্যরকম হতো, আমার যন্ত্রণা একই হতো । আজকে আমি আরও ঊর্ধ থেকে যন্ত্রণা ভোগ করি। আজকে আমি কেবল যন্ত্রণা ভোগ করি । আমি ক্ষুধার্ত মানুষের যন্ত্রণার দিকে তাকাই আর দেখি যে তাদের ক্ষুধা আমার যন্ত্রণা থেকে অনেক পার্থক্য বজায় রেখেছে ; আমি মৃত্যু পর্যন্ত উপবাস করতে পারি আর অন্তত একটা ঘাসের শীষ আমার কবর থেকে জন্মাবে । প্রেমিক-প্রেমিকাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার । আমার তুলনায় তাদের রক্ত কতোটা স্পন্দিত হয়েছে, যার কোনও উৎস বা প্রয়োজন নেই । এতোকাল পর্যন্ত আমি ভাবতুম যে এই বিশ্বে সবকিছুই হয় বাবা-মা অথবা সন্তান । কিন্তু চেয়ে দ্যাখো : আজকে আমার যন্ত্রণা বাবা-মাও নয় সন্তানও নয় । অন্ধকার হবার মতো এর কোনো পিছন নেই, ভোর হবার মতো এর প্রচুর বুকের পাটা আছে ।, আর যদি ওরা একে কোনো অন্ধকার ঘরে বন্দি করে রাখে এ থেকে আলো বেরোবে না ; যদি ওরা একে কোনো উজ্বল ঘরে রাখে, এর কোনো ছায়া তৈরি হবে না । আজকে আমি যন্ত্রণা ভোগ করি তা যাইই হোক না কেন। আজকে আমি কেবল যন্ত্রণা ভোগ করি ।
আমার উপরে, তোমার উপরে, আর ঐ কাপুচিন মঠবাসীদের ’পরে চিকিৎসা-বিদ্যার কিছু জানা সূত্রের নির্ভরে, ঘড়ির মতন নাগাড়ে, বিরতিহীন সোল্লাসে বাড়ে নাসাতরু দিনদিন। রাতারাতি তারা বেড়ে চলে অনুখন প্রতি নাগরিকে, বিশেষ বা সাধারণ, সান্ত্রির তথা মন্ত্রীর ’পরে, ধনী তথা গরিবের, প্যাঁচার মতন নিশি-ডাক ছেড়ে ছেড়ে, ঠাণ্ডা এবং প্রায়-নিষ্ক্রিয়, মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে মুষ্টিযোদ্ধা যাকে, অথবা থেঁৎলে গিয়েছে যা দরোজায়, আর আমাদের স্ত্রী-জাতি পড়োশিদের সেগুলি যে, আহা, তুরপুন হয়ে ঢোকে কত দুয়ারের চাবির ছিদ্রে, হায়! গোগল-মরমি, ঝঞ্ঝেটে আত্মাটি ধ্যানে জেনেছিল ইহাদের খুঁটিনাটি। আমার ইয়ার বুগিন্্স্, মদের ঘোরে স্বপ্ন দেখল, যেন গির্জার চূড়ার মতন চোখা হয়ে, ঝাড়বাতি-বালতি-গামলা টুটে, জাগিয়ে এবং বিঁধে ফেলে যত অবাক্ সিলিং, পরে গেঁথে মেঝেগুলি-খোঁটে রিসিট যেমন গেঁথে রাখা হয়-তারপর একরোখা উঠে গেল নির্বাক্ উপরে, আরও উপরে তার আপনার নাক। ‘এর মানেটা কী?’ পরদিন প্রাতে আমাকেই শুধাল সে। ‘হুশিয়ারি কেয়ামতের: হয়তো,’ আমি বলি, ‘তোর বই- পত্রের হ’তে পারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শীঘ্রই।’ তিরিশ তারিখে বন্ধু-বেচারা ঢুকে গেল কারাগারে। কেন, হে প্রধান নাক-বিধায়ক, কেন বাড়ে আমাদের নাকগুলি, আর কমে আয়ু আমাদের? কেন এই ছোট মাংসপিণ্ড রাতের অন্ধকারে আমাদের শুষে ভ্যাম্পায়ার বা সাক্শন-পাম্প্-হেন খালি করে একেবারে? এস্কিমো জাতি, এরকম শোনা যায়, মুখের বদলে নাক দিয়ে চুমু খায়। আমাদের মাঝে এখন অবধি চলন হয় নি এর।
সবেধন পুত্র মোর, আমার চেয়েও বেশি ঈশ্বরের তুই থেকে যা এখানে এই নাশপাতি গাছের বাগানে। সুপ্রচুর ফলভারে এইখানে গাছেরা আনত তৃপ্ত আর পরিমিত রঙের বাহারে উদ্ভাসিত; বার্ধক্যপীড়িত হয়ে তারা যেই কাঁদে, নোনাজল নয় কোনো, সুমধুর অলস সিরাপে অশ্রু ঝরে। “আমার নিজের আমি আর আমি থাকি না নিজের” তাকে দেখে মনে হতো বেগানা নাগর, চুপচাপ সে-বিদেশি,পদ্মডাঁটা হাতে নিয়ে এসেছিল আমার দুয়ারে; ঈশ্বরের জোড়াচক্ষু, ইউসুফেরও চোখের অধিক গনগনে তার চোখে চোখ রেখে কী হলো আমার আমি কী করে বোঝাই? ছিলাম নিজের আমি আর আমি থাকিনি নিজের। আর এই জনাবারো শ্রমশীল লোক, এরা কারা? তোর কথা মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝি না: শিখিয়েছি আমি তোকে বুলি; রেখেছি পাখির নামগুলি যে কোনো শিশুর মতো তুই দেখাতি ওদের যারা দীর্ঘ পরিযায়ী। ভিড় থেকে দূরে গিয়ে তুই ফের হয়ে যারে চুপ “আমার নিজের আমি আর আমি থাকি না নিজের” আমি যেই কথা বলি মুখভার কেন তোর বাপ? এই তোর মালামাল, চাকু ও করাত আর এই হাতুড়িটা বেঞ্চির ওপর। দিনে দিনে হয় মাপা এইখানে তোর এ-জীবন, মাপজোক নিয়ে তুই আসবাব বানাস যেমন; আর আমি পত্নী হেন তোকে দেবো পাঠ; আমার নিজের হবো আর হবো কেবলই আমার ইচ্ছেমতো যথাতথা বয়ে চলে বেয়াড়া বাতাস দিলখোশ না হলে কি কেউ চলে তার অনুরূপ? আজও মনে পড়ে, তুই গিয়েছিলি আলাপ জমাতে পশমের আলখাল্লাধারী যতো পণ্ডিতের সাথে। কানে এলো শহরের তীব্র হট্টগোল; এ-অশুভ যন্ত্রখানি কে বয়ে বেড়ায়? “সে তার নিজের আর নয় সে নিজের” মাড়িয়ে সবুজ আর দ্রুত-তৃণ গালিচা মাড়িয়ে দেখি এক আজগুবি ছায়া এসে পড়ে ও মানিক, এই পেটে তোকে আমি ধরেছি রে একা! ছিলো না নিকটে কোনো কবিরাজ নাড়ি কাটবার; ডাকবো না তোকে আমি প্রভু বলে ওরে সবেধন পুত্র মোর, দে আমায় সাড়া! “আমার নিজের আমি আর আমি নই তো নিজের।